This post is about the complete Bangla Summary of The God of Small Things, a novel by Arundhati Roy (1961-Present).
পারিবারিক সম্পর্ক মানুষের জীবনকে কতটুকু প্রভাবিত করতে পারে তা Arundhati Roy তার গল্প The God of Small Things এর মাধ্যমে খুব চমৎকারভাবে দেখিয়েছেন। গল্পের ঘটনাগুলি খণ্ডিতভাবে প্রকাশ করা হয়েছে। বেশিরভাগ ঘটনাই 1969 এবং 1993 সালের মধ্যে ঘটে যাওয়া। গল্পটি ভারতের কেরালার একটি শহর আয়মেনেমের এক ধনী সিরিয়ান খ্রিস্টান ইপে পরিবারকে নিয়ে। বেশিরভাগ ঘটনাগুলো ঘটে 1969 সালে সাত বছর বয়সী যমজ Estha এবং Rahel কে কেন্দ্র করে। এরা তাদের মা Ammu, নানী Mammachi, মামা Chako এবং বড় খালা Baby Kochamma এর সাথে থাকে।
Mammachi এর স্বামী Pappachi একজন পতঙ্গ বিশারদ ছিলেন। একদিন চা খেতে খেতে তিনি তার চায়ের মধ্যে একটি নতুন পতঙ্গ আবিষ্কার করলেন এবং সেটা সরকারি অধিদপ্তরে জমা দিলেন। কিন্তু সেটার কৃতিত্ব Pappachi কে না দিয়ে অন্য আরেকজনকে দেয়া হলো।এতে তার ভীষণ মন খারাপ হয় এবং সেটার রেশ গিয়ে পড়ে Mammachi এর উপর। তিনি Mammachi কে প্রচুর মারধর করতেন। এদিকে Mammachi আচার বানানোর জন্য তার এলাকায় বেশ খ্যাতি কুড়িয়েছিলেন। কিন্তু তার এই খ্যাতি Pappachi সহ্য করতে পারতেন না। এই দম্পতির ঘরে দুই সন্তান ছিলো, Ammu এবং Chako। Chako পড়ালেখা করার জন্য লন্ডন গিয়েছে আর Ammu তেমন একটা পড়াশোনা করেনি। কারণ Pappachi মনে করেন মেয়েদের অতো বেশি না পড়লেও চলবে। তার মতে, মেয়েরা ঘরে থাকবে এবং ঘরের কাজকর্ম করবে। Ammu এর বিয়ের ক্ষেত্রেও Pappachi যথেষ্ট উদাসীনতা দেখান। কিন্তু Ammu চাচ্ছিলেন বিয়ের করে বাবার বাড়ি থেকে রেহাই নিবেন। কারণ নিত্যদিনের এই নিপীড়নের চিত্র দেখতে দেখতে তিনি অতিষ্ঠ হয়ে গেছেন। তিনি চিন্তা করেন শহরে এক আত্মীয়ের বাসায় যাবেন এবং সেখানেই কাউকে পছন্দ করে বিয়ে করবেন। তার চিন্তানুযায়ী Baba নামক এক ভদ্রলোকের সাথে তার পরিচয় হয় এবং তাকেই তিনি বিয়ে করেন। সেখানেই তাদের দুজন যমজ সন্তান হয়। কিন্তু পরবর্তীতে Ammu খেয়াল করেন যে Baba একজন নেশায় আসক্ত ব্যক্তি। তার এই আসক্তির জন্য তিনি নিজের চাকরি হারান। এদিকে Baba তার চাকরি ফিরে পেতে Ammu কে শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতন করছেন। তিনি চান Ammu Baba এর ম্যানেজারের সাথে একটা সম্পর্ক তৈরি করুক যাতে তিনি তার চাকরি ফিরে পান। সব কিছু বিবেচনা করে Ammu ঠিক করেন তিনি তার সন্তানদের নিয়ে বাবার বাসায় ফিরে যাবেন এবং সেটাই করেন। কিন্তু তার ফিরে আসাটা অনেকেই ভালোভাবে নিলো না। Chako মনে করতেন তার বাবা সম্পত্তির উত্তরাধিকার একমাত্র সে এবং বোনকে কোনো ভাগ সে দিতে চায়না। এভাবেই ঘটনা চলছিলো, কিন্তু হটাৎ একটা অঘটন ঘটে। পুরো পরিবার একটা সিনেমা দেখতে যায় এবং আসার পথে তাদের গাড়িটি কমিউনিস্ট পার্টির রেলির সামনে পড়ে। সেখানে তারা কিছুটা হেনস্তা হয় এবং ধারণা রাখে এই দলের মধ্যে হয়তো Velutha ও রয়েছে। Velutha এই পরিবারের একজন নিম্নশ্রেণির লোক এবং সে এই পরিবারে বিভিন্ন কাজকর্মে সাহায্য করে।
ঘটনাপ্রবাহে জানতে পারি, Chako লন্ডনে Margaret নামক এক মহিলাকে বিয়ে করে। সেখানে তাদের Sophie Mol নামে একটি মেয়ে জন্ম নেয়। মেয়েটি জন্ম নেয়ার কিছুদিন পরে Chako দেশে ফিরে আসে এবং Margaret Joe নামক আরেকজনকে বিয়ে করে। পরবর্তীতে Joe রোড এক্সিডেন্টে মারা গেলে Margaret Chako এর ডাকে সাড়া দিয়ে মেয়ে Sophie কে নিয়ে কেরালা চলে আসেন। এভাবে দিনকাল ভালোই যাচ্ছিলো তাদের।
স্বাভাবিকভাবেই Ammu, Estha এবং Rahel এই পরিবারে কিছুটা অবহেলিত ছিল। কিন্তু Velutha যমজ দুই ভাইবোনকে খুব পছন্দ করতো। এদিকে Velutha এবং Ammu সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। বিষয়টা যখন জানাজানি হয় তখন পরিবারের সবাই খুব রেগে যায়, কারণ আগেই বলা হয়েছে Velutha একজন নিচু শ্রেণির মানুষ। Baby Kochamma এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে একজন কমিউনিস্টকে শায়েস্তা করার সিদ্ধান্ত নেয়।
একদিন Estha, Rahel এবং Sophie একজায়গায় যাওয়ার সময় নৌকাডুবিতে Sophie মারা যায়। এই মৃত্যু এই পরিবারকে বিচ্ছিন্ন করার জন্য প্রধান প্রভাবক হিসেবে কাজ করে। Sophie এর মৃত্যুতে Ammu, Estha এবং Rahel কে দায়ী করা হয়। ধারণা করা হয়, যদি তারা দুজন Sophie কে না নিয়ে যেত তাহকে এই দূর্ঘটনা ঘটতোনা। তিনজনের কাউকেই তার ফিউনারেলে যেতে দেয়া হয়নি।
Baby Kochamma প্রতিশোধ পরায়ণ হয়ে থানায় Velutha এর বিরুদ্ধে একটা মামলা করেন যে, সে তিনজন বাচ্চাকে অপহরণ করে এবং মেয়েটার মৃত্যুর জন্য সে-ই দায়ী। রিপোর্ট অনুযায়ী পুলিশ Velutha কে গ্রেফতার করে এবং বেদম প্রহার করে। সেখানে তার মৃত্যু হয়।
Velutha এর মৃত্যুর পর Ammu, Estha এবং Rahel পুলিশের কাছে একটি স্টেটমেন্ট দেয় যে, Velutha এর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ছিলো। তখন পুলিশ ভীতির মুখে পড়ে যায়, একজন নিরপরাধ কমিউনিস্টকে হত্যা করা অভিযোগে বড় ধরনের কমিউনিস্ট দাঙ্গা হতে পারে। তখন তারা Baby Kochamma কে চাপ দিতে শুরু করে। এদিকে Kochamma Ammu, Estha এবং Rahel কে স্টেটমেন্ট তুলে নিতে বলেন। কিন্তু তারা তাদের সিদ্ধান্তে অটল থাকে। বিফল হয়ে Kochamma তখন Chako এর শরণাপন্ন হয় এবং তাকে বোঝানোর চেষ্টা করে যে Sophie এর মৃত্যুর জন্য তিন মা-সন্তানই দায়ী। Chako রেগে গিয়ে Ammu কে বাড়ি থেকে বের করে দেয়, Estha কে তার বাবার কাছে পাঠিয়ে দেয়। Ammu বিভিন্ন জায়গায় টুকটাক কাজ করে জীবিত নির্বাহ করতে থাকে এবং ৩১ বয়সে তিনি মারা যান।
সময়টা ১৯৯৩ সাল, Estha এবং Rahel তাদের মায়ের ফিউনারেলে পুনরায় একত্রিত হয়। এর মাঝে Rahel একজনকে বিয়ে করে। কিন্তু তার পারিবারিক ঘটনা তার সাংসারিক জীবনে প্রভাব ফেলে এবং তার স্বামী তাকে ছেড়ে চলে যায়। পরবর্তীতে Rahel বুঝতে পারে যে তার জন্য তার ভাই Estha ই বেস্ট লাইফ পার্টনার। তাদের একত্রিত হওয়ার মধ্য দিয়ে গল্পটি শেষ হয়।
Read Also: Tree Without Roots Bangla Summary