Here’s the complete Bangla Summary of Things Fall Apart, the debut novel by the Nigerian author Chinua Achebe.
Things Fall Apart হলো Okonkwo এবং ইগবো সংস্কৃতির মর্মান্তিক পতন সম্পর্কে লেখা একটি গল্প। Okonkwo ছিলেন পূর্ব নাইজেরিয়ার উমুওফিয়ার ইগবো সম্প্রদায়ের একজন সম্মানিত এবং প্রভাবশালী নেতা। তিনি ব্যক্তিগত খ্যাতি অর্জনের পাশাপাশি একটি কুস্তি প্রতিযোগিতায় Amalinze the Cat কে পরাজিত করে নিজ গ্রামে সম্মান বয়ে আনেন।
Okonkwo এর বাবা Unoka ছিলেন একজন অলস এবং অপব্যয়কারী লোক। তিনি প্রায়ই অন্যদের কাছে টাকা ধার করতেন। তারপর তা দিয়ে পাম-ওয়াইন খেতেন এবং বন্ধুদের সাথে উল্লাসে উড়িয়ে দিতেন। ফলে তার স্ত্রী ও সন্তানেরা প্রায়ই ক্ষুধার্ত থাকত। সম্প্রদায়ের মধ্যে, Unoka কে ব্যর্থ এবং হাসির পাত্র হিসাবে বিবেচনা করা হত। তাকে আগবালা হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছিল, যিনি সম্পত্তিহীন ও মহিলার দুর্বলতার সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ। Unoka এক লজ্জাজনক মৃত্যুবরণ করেন এবং অসংখ্য ঋণ রেখে যান। Okonkwo তার বাবার কাজ কর্মকে অনেক অপছন্দ করতেন। তিনি তার পিতার দুর্বলতার ফলে যে লজ্জা বোধ করতেন তা কাটিয়ে ওঠার সংকল্প করেন এবং শক্তিশালী পুরুষ হিসেবে সমাজে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন।
যেহেতু Okonkwo তার সম্প্রদায়ের একজন নেতা, তার কাছে Ikemefuna নামে একটি অল্প বয়স্ক ছেলেকে রাখতে বলা হয়। উমুওফিয়ার সাথে যুদ্ধ এড়াতে প্রতিবেশী এলাকা এমবাইনোর দ্বারা শান্তির প্রস্তাব হিসাবে Ikemefuna কে এই গ্রামে পাঠানো হয়। Ikemefuna তার ছেলে Nyowe র সাথে বন্ধুত্ব গড়ে তোলে। Okonkwo ও ছেলেটির প্রতি ভীষণ অনুরাগী হয়ে ওঠে। একদিন Okonkwo তার কনিষ্ঠ স্ত্রী Ojiugo কে মারধর করার মাধ্যমে Week of Peace (শান্তির সপ্তাহ) লঙ্ঘন করেন। কারণ তার স্ত্রী পাশের বাড়িতে তার চুল বিনুনি করতে গিয়েছিলেন এবং দুপুরের খাবার তৈরি করতে ও তার বাচ্চাদের খাওয়াতে ভুলে গিয়েছিলেন। পরে, তিনি তার দ্বিতীয় স্ত্রী Ekwefi কে মারাত্মকভাবে মারধর করেন।এর কারণ হচ্ছে Ekwefi নিউ ইয়ামের উৎসবের খাবার মোড়ানোর জন্য Okonkwo এর কলা গাছ থেকে পাতা নিয়েছিলেন।
গ্রামে পঙ্গপালের আগমনের পর, গ্রামের সবচেয়ে বয়স্ক ব্যক্তি Ogbuefi Ezeuder, Okonkwo কে ওরাকলের একটি বার্তা পাঠান। ওরাকল বলে যে এমবাইনোতে তিন বছর আগে নিহত উমুফিয়ান মহিলার প্রতিশোধের অংশ হিসাবে Ikemefuna কে অবশ্যই হত্যা করতে হবে। সে Okonkwo কে হত্যায় অংশ নিতে নিষেধ করে, কিন্তু Okonkwo সেটা শোনেনা। তিনি মনে করেন যে অংশগ্রহণ না করা দুর্বলতার লক্ষণ হবে। বীরত্ব দেখাতে গিয়ে Okonkwo তার নিজের ছুরি দিয়ে Ikemefuna কে হত্যা করে। Nwoye বুঝতে পারে যে তার বাবা Ikemefuna কে খুন করেছে। ফলস্বরূপ, সে তার বাবা এবং গোষ্ঠীর লোকদের থেকে নিজেকে দূরে রাখতে শুরু করে।
Ikemefunaকে হত্যা করার পর Okonkwo বিষণ্ণ হয়ে পড়ে। সে ঠিকমতো ঘুমাতে পর্যন্ত পারেনা। তাই সে তার বন্ধু Obierika এর সাথে দেখা করতে যায়। অবশেষে, Obierika এর সাথে Ikemefunaর মৃত্যু নিয়ে আলোচনা করার পর Okonkwo বিশ্রামে ঘুমাতে সক্ষম হয়।
এরই মধ্যে Ogbuefi Ezeudu মারা যায়। Ezeudu গ্রামের একজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা ছিলেন এবং বংশের চারটির মধ্যে তিনটি শিরোনাম অর্জন করেছিলেন, এটি একটি বিরল কৃতিত্ব। তার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার সময়, Okonkwo এর বন্দুক থেকে একটি গুলি বের হয়ে Ezeuduর ষোল বছরের ছেলের গায়ে লাগে এবং সেখানেই সে মারা যায়।
ইগবো সম্প্রদায়ের বিশ্বাস ছিলো, গোষ্ঠীর কোনো লোককে হত্যা করা পৃথিবীর দেবীর বিরুদ্ধে একটি অপরাধ। তাই Okonkwo এবং তার পরিবারকে সাত বছরের জন্য উমুফিয়া থেকে নির্বাসন দেয়া হয়। পরিবারটি Okonkwo এর মায়ের জন্মস্থান Mbanta(এমবান্তায়) চলে যায়। তারা উমুওফিয়া ত্যাগ করার পর গ্রামের পুরুষদের একটি দল Okonkwo এর কম্পাউন্ড ধ্বংস করে। গ্রামকে শুদ্ধ করার জন্য তার পশুদের হত্যা করে। Obierika তার শস্যাগারে Okonkwo এর ইয়াম সংরক্ষণ করে এবং ইগবো সংস্কৃতির পুরানো ঐতিহ্য সম্পর্কে আক্ষেপ প্রকাশ করে।
Okonkwo কে এমবান্তায় তার মামা Uchendu স্বাগত জানায়। তিনি গ্রামের একজন প্রবীণ ব্যক্তি। তিনি Okonkwoকে খামার এবং তার পরিবারের জন্য কম্পাউন্ড তৈরি করতে একটি জমি দেন। কিন্তু Okonkwo হতাশাগ্রস্ত থাকে। তার বর্তমান অবস্থার জন্য তিনি তার Chi (বা ব্যক্তিগত আত্মা) কে দায়ী করেন।
নির্বাসনের দ্বিতীয় বছরে, তার বন্ধু Obierika তাকে দেখতে আসে। তিনি আবমে(Abame) গ্রাম সম্পর্কে দুঃখজনক সংবাদ বর্ণনা করেন। একটি শ্বেতাঙ্গ লোক সাইকেলে চড়ে গ্রামে আসে। পরে আবমের প্রবীণরা তাদের ওরাকলের সাথে পরামর্শ করে গ্রামবাসীরা শেতাঙ্গ লোকটিকে হত্যা করে। কিন্তু কয়েক সপ্তাহ পরে একটি বড় দল প্রতিশোধের জন্য গ্রামবাসীদের হত্যা করে। আবমে গ্রাম এখন জনশূন্য। Okonkwo এবং Uchendu সম্মত হন যে, গ্রামবাসীদের এমন একজন অচেনা মানুষকে হত্যা করা বোকামি হয়েছে। Obierika, Okonkwo কে কিছু টাকা দেয় যা সে তার ইয়াম বিক্রি করে পেয়েছিল।
একদিন, একজন শ্বেতাঙ্গ ব্যক্তিসহ ছয়জন মিশনারি এমবান্তায় আসেন। শ্বেতাঙ্গ লোকটি খ্রিস্টধর্ম নিয়ে লোকেদের সাথে কথা বলে। Okonkwo বিশ্বাস করেন যে লোকটি আজেবাজে কথা বলে। কিন্তু তার ছেলে Nwoye মুগ্ধ হয় এবং খ্রিস্টান ধর্মে পরিণত হয়। তার পরিবর্তিত নাম হয় Issac.
খ্রিস্টান মিশনারিরা গ্রামের নেতাদের দেওয়া জমিতে একটি গির্জা তৈরি করে। যাহোক, জমিটি ইভিল ফরেস্টের একটি অংশ ছিলো। গ্রামবাসীরা বিশ্বাস করে যে মিশনারিরা সেখানে টিকতে পারবেনা, মারা যাবে। কারণ তারা অভিশপ্ত জমিতে তাদের গির্জা তৈরি করেছিল। কিন্তু যখন মিশনারিদের কিছুই হয় না তখন এমবান্তার লোকেরা এই মন্তব্যে পৌঁছে যে, মিশনারিরা অসাধারণ শক্তি এবং জাদুশক্তির অধিকারী। মিশনারিদের প্রথম রিক্রুটরা হচ্ছে এফুলেফু(efulefu), মানে গ্রামের দুর্বল পুরুষরা। একজন মহিলা সহ অন্যান্য গ্রামবাসীরা শীঘ্রই খ্রিস্টান ধর্ম গ্রহণ করে। মিশনারিরা তখন উমুওফিয়ায় যায় এবং একটি স্কুল চালু করে। Nwoye তার বাবার কুঁড়েঘর ছেড়ে উমুফিয়ায় চলে যায় যেন সে স্কুলে যেতে পারে।
Okonkwo এর নির্বাসন শেষে তার পরিবার Umuofia ফিরে যাওয়ার ব্যবস্থা করে। সে উমুওফিয়ায় ফিরে আসার পর দেখে যে তার অনুপস্থিতিতে গ্রাম বেশ বদলে গেছে। অনেক পুরুষ তাদের উপাধি ত্যাগ করেছে এবং খ্রিস্টান ধর্ম গ্রহণ করেছে। শ্বেতাঙ্গরা কারাগার তৈরি করেছে। তারা একটি সরকারী আদালত প্রতিষ্ঠা করেছে, যেখানে শ্বেতাঙ্গদের আইন ভঙ্গ করার জন্য বিচার করা হয়। তারা উমুওফিয়ার স্থানীয়দেরও সেখানে কাজে নিয়োগ করেছে। Okonkwo আশ্চর্য হন যে কেন উমুফিয়ানরা শ্বেতাঙ্গদের গির্জা এবং নিপীড়ক সরকারের হাত থেকে গ্রামকে মুক্ত করতে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি!
ইগবো গোষ্ঠীর কিছু সদস্য উমুওফিয়ার পরিবর্তন পছন্দ করে। Mr. Brown ছিলেন একজন শ্বেতাঙ্গ ধর্মপ্রচারক, যিনি ইগবো ঐতিহ্যকে সম্মান করেন। তিনি ইগবো সংস্কৃতি সম্পর্কে জানার চেষ্টা করেন এবং গোষ্ঠীর কিছু নেতার সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তোলেন। তিনি সব বয়সের ইগবো মানুষকে শিক্ষা পেতে উৎসাহিত করেন। Brown অসুস্থ হওয়ার পর তিনি স্বদেশে ফিরে যেতে বাধ্য হন। তখন তার পরিবর্তে Reverend James Smith খ্রিস্টান চার্চের নতুন প্রধান নিযুক্ত হন। কিন্তু Mr. Smith, Brown এর মতো বিনয়ী নন। তিনি অত্যন্ত কঠোর প্রকৃতির মানুষ।
Enoch খ্রিস্টধর্মে ধর্মান্তরিত হওয়ার পর, egwugwu এ এক প্রকার সহিংসতা দেখা দেয়। প্রতিশোধ হিসেবে, egwugwu Enoch এর কম্পাউন্ড পুড়িয়ে দেয় এবং তারপর খ্রিস্টানদের গির্জা ধ্বংস করে। জেলা কমিশনার উমুওফিয়াতে ফিরে আসার পর গির্জা ধ্বংসের কথা জানতে পারেন এবং Okonkwo সহ গ্রামের ছয় নেতাকে তার সাথে দেখা করতে বলেন। ক্ষতিপূরণ হিসেবে আড়াইশ’ বস্তা কড়ি(তাদের অর্থের নাম) জরিমানা দাবি করা হয় এবং তা না দেয়ায় পুরুষদের জেলে যেতে হয়। উমুওফিয়ার লোকেরা অর্থ সংগ্রহ করে জরিমানা পরিশোধ করে এবং পুরুষদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
পরের দিন গোষ্ঠীর একটি সভায় পাঁচ জন আদালতের বার্তাবাহক আসেন। তারা জমায়েত বন্ধ করতে হুকুম দেন। কথোপকথনের মাঝে হঠাৎ Okonkwo তাদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং ছুরি দিয়ে বার্তাবাহকদের মধ্যে একজনের শিরশ্ছেদ করে ফেলে। সে খেয়াল করে, গোষ্ঠীর কেউই পালিয়ে যাওয়া বাকি বার্তাবাহকদের আটকাচ্ছেনা। তখন Okonkwo বুঝতে পারে যে তারা কখনই তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে যাবে না। বরং শ্বেতাঙ্গদের কাছে উমুওফিয়া আত্মসমর্পণ করবে। এসব ভাবনা তাকে অস্থির করে তোলে। সে জানে, শ্বেতাঙ্গরা তার এই হত্যার বিচার করবে। তাই শ্বেতাঙ্গদের হাতে হেনস্তা হওয়ার চেয়ে সে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে।
Read Also: The God of Small Things Bangla Summary
Outstanding work honourable sir.
I am from Gaibandha Govt College. Masters session :2020-21