Literature and Society বাংলা Summary

Literature and Society এই প্রবন্ধ আমরা মাত্র চারটি(৪) প্রশ্নের মাধ্যমে খুব সহজেই জানতে পারবো।

১. এই প্রবন্ধ কেন এবং কিভাবে লেখা হয়েছিল?

২. লিটারেচারের সাথে সমাজ কিভাবে সম্পৃক্ত? বা সমাজের সাথে লিটারেচার কিভাবে সম্পৃক্ত?

৩. Popular and Sophisticated Culture এর ধারণা।

৪. লিটারেচার এবং সমাজের সম্পৃক্ততা দেখাতে গিয়ে লেভিস কাদের উদ্ধৃতি দিয়েছেন, সমালোচনা করেছেন এবং তাদের প্রশংসা করেছেন?

তো চলুন শুরু করা যাক,

. এই প্রবন্ধ কেন এবং কিভাবে লেখা হয়েছিল?

Literature and Society F R Leavis 1895-1978 ( Frank Raymond Leavis) এর একটি প্রবন্ধ। লিভিসকে একবার ‘ইউনিয়ন অফ দ্য লন্ডন স্কুল অফ ইকোনমিক্স অ্যান্ড পলিটিক্স’-এ আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল যেখানে তিনি সাহিত্য ও সমাজের উপর বক্তৃতায় শিক্ষার্থীদের ভাষণ দিয়েছিলেন। সাহিত্য ও সমাজ কীভাবে পরস্পর নির্ভরশীল সে বিষয়ে তিনি তার মতামত প্রকাশ করেছেন। 

Leavis এই প্রবন্ধে পাঁচটা জিনিসের প্রতি খুব গুরুত্ব দিয়েছেন: 

  1. Literature
  2. Tradition
  3. Culture -(Popular & Sophisticated)
  4. Society 
  5. Individual Talent 

. লিটারেচারের সাথে সমাজ কিভাবে সম্পৃক্ত? বা সমাজের সাথে লিটারেচার কিভাবে সম্পৃক্ত?

Leavis এর প্রবন্ধ,Literature and Society এর  দিকে তাকানোর আগে, আমাদের literature সম্পর্কে তাঁর দুটি বিশিষ্ট উদ্ধৃতি স্মরণ করা উচিত:

  • .” Literature is the supreme means by which you renew your sensuous and emotional life and learn a new awareness”
  • .” Literature is the store house of the recorded values”.

উপরের উদ্ধৃতিগুলি আমাদের জীবনে সাহিত্যের তাৎপর্য এবং এর প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে নিশ্চিত করে। লিভিস সর্বদা বিশ্বাস করতেন যে, সাহিত্য জীবনের সমালোচনার সাথে ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত হওয়া উচিত। লিটারেচারের মাধ্যমেই কোন সমাজকে খুব ভালো করে জানা যায়। আবার সমাজের সবকিছুই লিটারেচারের অন্তর্ভুক্ত। আর এটা ইন্ডিভিজুয়াল ট্যালেন্টের (রাইটারের) মাধ্যমে সম্ভব। এই ইন্ডিভিজুয়াল ট্যালেন্ট মূলত সমাজেরই একটা অংশ। অর্থাৎ এখানে লেভিস দেখিয়েছেন, ইন্ডিভিজুয়াল ট্যালেন্টের মাধ্যমে লিটারেচার তৈরি হয়। আর এই লিটারেচার সমাজের সব কিছু উপস্থাপন করে। নানা শ্রেণী পেশার মানুষ, অর্থনীতি, রাজনীতি, ইতিহাস-ঐতিহ্য সবকিছুই। আবার সমাজ কিন্তু লিটারেচার ছাড়া চলতে পারবে না। সমাজ ও লিটারেচার একে অন্যের পরিপূরক।

৩. Popular and Sophisticated Culture এর ধারণা

Popular Culture 

Popular কালচার মূলত আমরা যা পড়ি ও শুনি, এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত। যদি কোন সাহিত্যিকের বই বিখ্যাত হয়ে যায় ,তাহলে এই বিখ্যাত বই যে আমরা জনপ্রিয় হওয়ার পর আগ্রহ থেকে পড়ি, এটাই হচ্ছে পপুলার কালচার। এক্ষেত্রে কোন সিঙ্গারের গান জনপ্রিয় হওয়ার পরে তা শোনাও পপুলার কালচার। আবার কোন মুভি জনপ্রিয় হওয়ার পরে যখন তা দেখবো বা রিসার্চ করবো তাও হচ্ছে পপুলার কালচার।

Sophisticated Culture 

Sophisticated Culture মূলত একটু হাই লেভেলের হয়ে থাকে। কোন চিত্রশিল্পীর আর্ট দেখা, ক্লাসিক মিউজিক শোনা বা ডান্সিং প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করা হচ্ছে Sophisticated Culture। সত্যিকারের পপুলার ও সফিস্টিকেটেড কালচারের সংমিশ্রনে লিখিত লিটারেচারের সেরা উদাহরণ হলো জন ড্রাইডেনের সমসাময়িক লেখক, জন বানিয়ানের মাস্টারপিস কাজ, ‘দ্য পিলগ্রিমস প্রোগ্রেস’। 

. লিটারেচার এবং সমাজের সম্পৃক্ততা দেখাতে গিয়ে লেভিস কাদের উদ্ধৃতি দিয়েছেন, সমালোচনা করেছেন এবং কাদের প্রশংসা করেছেন?

Leavis T.S.Eliot, D.H.Lawrence William Blake, William Wordsworth, John Bunyan এবং আরো অনেক বিখ্যাত লেখক ও কবিদের দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন। ফলস্বরূপ তিনি  The Great Tradition, The Common Pursuit, New Bearings In English, Dickens The Novelist, Education and University ইত্যাদির মতো অনেক বিখ্যাত বই লিখেছেন।

  • D H Lawrence –সমালোচনা করেছেন

প্রাথমিকভাবে, লেভিস শ্রমিক শ্রেণী এবং তাদের জীবনকে একত্রিত করে সাহিত্যের দিকে মনোনিবেশ করেন। ডিএইচ লরেন্সের উদাহরণ গ্রহণ করে, তিনি মনে করেন যে লরেন্স সংরক্ষণশীল বা মধ্যবিত্তদের কাছে পৌঁছাতে ব্যর্থ হয়েছেন। কারণ তিনি বাস্তবতাকে ভুলভাবে উপস্থাপন করেছিলেন। তিনি এমন একটি সামাজিক শ্রেণির জীবন সম্পর্কে লিখেছেন যারা তাদের জীবনের মূল লক্ষ্য থেকে সরে গেছে করেছে’।

  • Marxist’s Theory – মার্কসবাদী তত্ত্ব- সমালোচনা করেছেন

‘সাহিত্যের প্রতি মার্কসবাদীদের দৃষ্টিভঙ্গি অলাভজনক বলে মনে হয়। Karl Marx সাহিত্যকে শিল্পের বিচ্ছিন্ন কাজের বিষয় হিসাবে স্বীকার করেন এবং মনে করেন যে নির্দিষ্ট সৃজনশীল উপহারের সাথে ব্যক্তিরা এই ধরনের রচনা তৈরি করে। অর্থাৎ তার মতে, যখন মানুষ একাকীত্ব অনুভব করে তখন সাহিত্য লেখে। তবে কাল মার্কস সাহিত্যকে গুরুত্ব না দিয়ে অর্থনীতি, বস্তুবাদী চিন্তাধারা এবং রাজনীতির প্রতি গুরুত্ব দিয়েছেন। এবং তিনি বলেছেন রাজনীতি, অর্থনীতি এবং বস্তুবাদী চিন্তাভাবনা সাহিত্যের মূল বিষয় হওয়া উচিত। মার্কসীয় তত্ত্ব সমাজের অর্থনৈতিক ও বস্তুগত বিষয়ের উপরে সবচেয়ে বেশি জোর দেয়। কিন্তু লেভিস এর সম্পূর্ণ বিপরীতে অবস্থান নিয়েছেন। তিনি বলেন লিটারেচারের মধ্যে সবকিছু থাকবে। অর্থনীতি, রাজনীতি ,ইতিহাস ও ঐতিহ্য। পাশাপাশি ইনডিভিজ্যুয়াল ট্যালেন্টকে মার্কসবাদীরা অবমূল্যায়ন করেছে, কিন্তু লেভিস এর গুরুত্ব কতটা বেশি তা বলেছেন। আবার পপুলার কালচার এবং সপস্টিকেটেড কালচার থাকবে। এবং লিটারেচার ইন্ডিভিজুয়াল ট্যালেন্ট ও সমাজের সংমিশ্রণের মাধ্যমেই লেখা যায়। 

  • T.S Eliot’s theory of Tradition and Individual Talent – ইন্ডিভিজুয়াল ট্যালেন্টের জায়গা থেকে সমালোচনা করেছেন। আর সমাজ ও লিটারেচারের সম্পর্ক নিয়ে সহমত পোষণ করেছেন।

টি এস এলিয়ট, ট্রেডিশন বলতে শুধুমাত্র আগের জেনারেশনকে ফলো করা বোঝান নি। বরং ট্রেডিশন বলতে হিস্টরি কে ফলো করা বুঝিয়েছেন। আর ইন্ডিভিজুয়াল ট্যালেন্ট বলতে টি এস ইলিওট বুঝিয়েছেন একজন লেখককে ডিপার্সোনালাইজড হতে হবে। এই জায়গায় লেভিস তার বিরোধিতা করেছেন। তার মতে একজন রাইটারকে এই জায়গা থেকে বের হয়ে আসতে হবে। ইন্ডিভিজুয়াল ট্যালেন্ট কখনো ডিপার্সোনালাইজড হবে না। ইন্ডিভিজুয়াল ট্যালেন্ট এবং সোশ্যাল কালচার এই দুটোই লিটারেচারের জন্য থাকতে হবে। এই জায়গাটায় তাদের মতবিরোধ দেখা যায়।

তবে লিটারেচারের ক্ষেত্রে সমাজের যে গুরুত্ব, এই জায়গায় আবার তাদের উভয়ের মিল দেখা যায়। টিস ইলিয়ট “ট্র্যাডিশন এন্ড ইন্ডিভিজুয়াল ট্যালেন্টে” ইন্ডিভিজুয়াল ট্যালেন্টকে মাইন্ড হিসেবে রিপ্রেজেন্ট করেছেন। আর লেভিস বলেছেন,”লিটারেচার এন্ড সোসাইটিতে” সোসাইটিকে সরাসরি সোসাইটি হিসেবে ব্যবহার করেছেন। তিনি বলেন, সোসাইটি ইন্ডিভিজুয়াল ট্যালেন্টের উপরে নির্ভরশীল। আবার ইন্ডিভিজুয়াল ট্যালেন্ট সোসাইটি ছাড়া চলতে পারে না। 

  • William Blake and Wordsworth -সমালোচনা করেছেন

উইলিয়াম ব্লেক মূলত সমাজকে বেশি গুরুত্ব না দিয়ে ইন্ডিভিজুয়াল ট্যালেন্টের প্রতি বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন। আর William Wordsworth তার কবিতায় রাসটিক লাইফ বা গ্রাম্য জীবন সম্পর্কে বেশি লিখেছেন। এই দুইটি বিষয় অর্থাৎ ইন্ডিভিজুয়াল ট্যালেন্ট এবং রাসটিক লাইফকে বেছে নেওয়াটা লেভিস পারফেক্ট লিটারেচার হিসেবে নিতে পারছেন না। তার মতে পারফেক্ট লিটারেচারে, পপুলার কালচার, সপস্টিকেটেড কালচার ও ইন্ডিভিজুয়াল ট্যালেন্টের সংমিশ্রণ থাকবে।

  • John Bunyan’s, The pilgrim’s Progress – অনেক প্রশংসা করেছেন।

কারণ এই নোভেলে popular and sophisticated culture এর উপাদান রয়েছে। এজন্য লেভিস একে মাস্টারপিস বলে আখ্যা দিয়েছেন। কেন লেভিস একে মাস্টারপিস বলেছেন এর পেছনে তিনটি কারণ রয়েছে,

১. সর্বপ্রথম অগাস্ট্যান এজের সাহিত্যে সোশ্যাল কন্টেক্সট সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পেয়েছে। সামাজিক জীব হিসেবে মানুষের সব কর্মকান্ড লিটারেচারের অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। আর এটা হয়েছিল জন বানিয়ানের প্রভাবেই।

২. Cecil Sharp’s এর Introduction to English Folk-Songs from the Southern Appalachians sophisticated culture এর অনন্য এক উদাহরণ। আমেরিকার পাহাড়ি অঞ্চলে যারা বসবাস করতো, তাদের অ্যাপোলোজিয়ন্স বলা হতো।  Cecil Sharp সেখানে গিয়ে দেখেন এখানে একটা আলাদা কালচার রয়েছে। যাকে তিনি লিভিং আর্ট অফ লিটারেচার বলে আখ্যা দিয়েছেন। তিনি তার এই Introduction to English Folk-Songs from the Southern Appalachians sophisticated culture এ অ্যাপোলোজিয়ান্স দের কালচারকে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন। আর এতে তিনি প্রভাবিত হয়েছিলেন জন বানিয়ান এর দ্য পিলগ্রিমস প্রগ্রেসের দ্বারা।

৩. সর্বশেষ কারণটি হচ্ছে, জন বানিয়ান এর সময়ের কালচার ছিল রিচ কালচার। সেই কালচার অনুযায়ী the Pilgrim’s Progress লেখা হয়েছে।

এই তিনটি কারণে এফ আর লেভিস পিলগ্রিমস প্রগ্রেসকে মাস্টারপিস অফ লিটারেচার বলে আখ্যা দিয়েছেন।

  • Modern Literature -সমালোচনা করেছেন

William Wordsworth এর মৃত্যুর পরে লিটারেচার মূলত রাসটিক লাইফ থেকে যান্ত্রিক লাইফে প্রবেশ করে। এখানে মার্কসীয় থিওরি মূলত বেশি প্রাধান্য পেয়েছে। লিটারেচারে অর্থনীতি, রাজনীতি, বাস্তববাদীতা সবচেয়ে বেশি জায়গা পেয়েছে। কিন্তু ইতিহাস ঐতিহ্য গুরুত্ব পায়নি। তাই এটা সফস্টিকেটেড কালচারের শর্ত কোন ভাবে পূরণ করলেও, পপুলার কালচারের শর্ত কিন্তু পূরণ করতে পারেনি। 

পরিশেষে কিছু কথা: 

লেভিস সোসিওলজি ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানে পড়ুয়া ছাত্রদের বলেছেন যে, তারাও যেন লিটারেচার পড়ে। কারণ লিটারেচারে পূর্ববর্তী সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক সবকিছুই তুলে ধরা হয়। ছাত্র-ছাত্রীরা আগের পরিস্থিতির সাথে বর্তমান পরিস্থিতির তুলনা করতে পারবে লিটারেচার পড়ার মাধ্যমে। এইভাবে, লেভিস বিভিন্ন সময় ও যুগে পরিচালিত সাহিত্যের বিভিন্ন পদ্ধতি প্রদর্শন করার চেষ্টা করেন। আমরা সাহিত্যের প্রধান শ্রেণীরও খুঁজে পাই, তার এই প্রবন্ধে। শেষ পর্যন্ত, পাঠকরা জীবনের জন্য সাহিত্যের গুরুত্ব এবং সমাজে এর প্রভাব স্বীকার করতে বাধ্য।

Rashedul Islam
Rashedul Islam

Hi, This is Rashedul. Researcher and lecturer of English literature and Linguistics.

Articles: 312

One comment

  1. Break a leg for your thoughtful discussion my reverend sir💝💝💝

    I am from Gaibandha Govt College. Masters session :2020-21. Please keep me in your prayer.

Leave a Reply