Key facts
Text’s name : Shakespeare’s Sister
Writer: Virginia Woolf (1882-1941), short story writer, feminist, sociologist, and literary critic.
Date of Publication: 1928
Genre: Feminist Essay
Themes: Feminism, Male domination, Self identify Crisis, Education, and Literature.
Tone: Melancholic tone
Literary Devices : Simile, Metaphor, Pathos, Antithesis
সামারি :
সাহিত্য সৃষ্টির মতো ক্ষেত্রটিতে মেয়েরা এতটাই অবহেলিত ছিল যে, ভার্জিনিয়া উলফের সময় পর্যন্ত মহিলাদের কাছে সাহিত্য জগতে রাইটার হিসেবে প্রবেশ করার সুযোগ ছিল না। ভার্জিনিয়া উলফ (1882-1941) শেক্সপিয়ারের একটি কাল্পনিক বোনের একটি গল্প উদ্ভাবনের মাধ্যমে মহিলাদের এই করুণ পরিস্থিতির দিকে নজর দেন। এই বোনের নাম ছিল জুডিথ (Originally, শেক্সপিয়রের মেয়ের নাম ছিল জুডিথ)। Virginia Woolf একাধারে একজন শর্ট স্টোরি রাইটার, ফেমিনিস্ট, সোসিওলিস্ট ও লিটারারি ক্রিটিক ছিলেন।
Shakespeare’s Sister একটি Persuasive essay ( যুক্তিতর্ক দিয়ে বোঝানো)। আর এখানে শুধুমাত্র সাহিত্য লেখার ক্ষেত্রে নয়, বরং সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, মনস্তাত্ত্বিক দিক থেকে মেয়েদের কিভাবে পিছিয়ে রাখা হয়েছিল তা তুলে ধরেছেন।
তো সেক্সপিয়র’স সিস্টার ,(Shakespeare’s Sister) এই ফিকশনাল প্রবন্ধে মূলত ২টা জিনিসের ওপরে আলোকপাত করা হয়েছে।
১. এলিজাবেথান যুগে ছেলেরা এতো এগিয়ে থাকলেও, মেয়েরা সাহিত্যে কেন এতো পিছিয়ে ছিল?
২. শেক্সপিয়রের একটা ফিকশনাল বোনকে তৈরি করে তার গল্প বলা হয়েছে। (শেক্সপিয়ারের একটা বোন থাকলে তার পরিণাম কি হতো, কাল্পনিক চরিত্র তৈরি করে তা দেখানো হয়েছে)
১. এলিজাবেথান যুগে ছেলেরা এতো এগিয়ে থাকলেও, মেয়েরা সাহিত্যে কেন এতো পিছিয়ে ছিল?
- ছেলেদের অবস্থান
Virginia Woolf দেখিয়েছেন যে এলিজাবেথান যুগে, সাহিত্য লেখার ক্ষেত্রে ছেলেরা অনেক এগিয়ে ছিল। যারা জীবনে কখনোই সাহিত্য লেখেনি, এমন ছেলেরাও জীবনে একটি হলেও কবিতা লিখেছে। অনেক বিখ্যাত বিখ্যাত লেখক এলিজাবেথান যুগে সাহিত্যকে শাসন করেছে। কিন্তু তারা সবাই ছিল ছেলে। তাহলে এলিজাবেথান যুগে মেয়েদের কোন সাহিত্য নেই কেন? তারা কি কোন সাহিত্য লেখেনি?
এর উত্তর জানতে হলে এলিজাবেদথান যুগে মেয়েদের পারিবারিক, সামাজিক, রাজনৈতিক ,অর্থনৈতিক ও সাহিত্যে অবস্থান জানতে হবে।
- মেয়েদের অবস্থান
রানী এলিজাবেথ নিজেই তখন একজন মেয়ে হয়েও পুরো ইংল্যান্ড শাসন করতেন। আর তিনি সাহিত্যের পৃষ্ঠপোষক ছিলেন। এজন্য তার সময়টা ইংরেজি সাহিত্যের স্বর্ণযুগ হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে। কিন্তু রানী এলিজাবেথ একজন মেয়ে হলেও, তিনি সমাজে নারীদের উন্নয়নে কিছুই করেননি। বরং ছেলে লেখকদের আধিপত্য সব জায়গায় ছিল। আবার অবস্থানের দিক থেকেও মেয়েদের নিচু স্তরে দেখানো হয়েছে।
১. ঈশ্বর
২. পুরুষ
৩. মহিলা
- সাহিত্যে মেয়েদের অবস্থান
এলিজাবেথান যুগে সাহিত্যে মেয়েদের খুব গ্লোরিফাই করা হয়েছে। তাদেরকে সাহিত্যে খুব বুদ্ধিমতি, এবং Protagonist হিসেবে দেখানো হয়েছে। কিন্তু তাদের কোন সাহিত্যকর্ম তখন প্রাধান্য দেওয়া হয়নি। তাই তারা ছেলেদের ছদ্মনাম নিয়ে সাহিত্য প্রকাশ করেছে। George Eliot, Virginia Woolf, Currer Bell ইত্যাদি। তাদেরকে সাহিত্য লেখার ক্ষেত্রে অনুৎসাহিত করা হয়েছে। পরিবার থেকে বাধা দেওয়া হয়েছে। কেউ যদি কোন সাহিত্য লিখতো, তাহলে তাকে খুব খারাপ ভাবে সমালোচনা করা হয়েছে, পুরুষ লেখকদের দ্বারা। সবচেয়ে খারাপ ভাবে সমালোচনা করেছেন, Oscar Browning. তিনি বলেন, “নারীদের মধ্যে যে সবচেয়ে বুদ্ধিমান, পুরুষদের মধ্যে যে সবচেয়ে কম বুদ্ধিমান, তার চেয়েও সেই বুদ্ধিমান নারী নিচু”। অর্থাৎ বিষয়টা এমন যে, সাহিত্যে মেয়েদের উঁচুভাবে দেখানো হয়েছে, কিন্তু সমাজে মেয়েদের অবস্থান ছিল একদম নিচু। যেই লেখক তার লেখনীতে মেয়েদের গ্লোরিফাই করেছেন, তিনিই আবার বাস্তব জীবনে মেয়েদের ডমিনেট করেছেন এবং অবমূল্যায়ন করেছেন।
- পরিবারে মেয়েদের অবস্থান
সে সময়ে পরিবারে মেয়েদের অবস্থান ছিল খুবই নাজুক। ছেলেদের স্কুলে পাঠানো হতো। কিন্তু মেয়েদেরকে মূর্খ করে বাড়িতেই রাখা হতো। তাদেরকে কোন বই-পুস্তক পড়তে দেওয়া হতো না, শুধুমাত্র রাজ পরিবার ছাড়া। এমনকি খুব অল্প বয়সেই তাদের বিয়ে দেওয়া হতো। এরপরেও যদি কোন মেয়ে পরিবারের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে সাহিত্যচর্চা শুরু করতো, তাহলে বাড়িতে তার জায়গা হতো না। এই প্রবন্ধে পরিবারে মেয়েদের খারাপ অবস্থান দেখানো হয়েছে, শেক্সপিয়ারের ইমাজিনারি সিস্টারের মাধ্যমে। শেক্সপিয়ারের যদি বোন থাকতো, তাহলে তার অবস্থা কেমন হতো? সেও কি শেক্সপিয়ারের মতো রাইটার হতে পারতো? সেও কি শেক্সপিয়ারের মতো লেখাপড়া করতে পারতো? সেও কি শেক্সপিয়ারের মতো স্বাধীনতা পেতো? না, কখনোই নয়? অর্থাৎ এখানে এলিজাবেথান যুগের সব মেয়েদের শেক্সপিয়র এর বোন হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে।
- সমাজে মেয়েদের অবস্থান
Elizabethan সমাজে মেয়েদেরকে খুবই অবহেলা করা হতো। তাদেরকে নানাভাবে হেনস্তা করা হতো। তাদের লেখনীগুলো পড়া হতো না। তাই তাদের অনেক সাহিত্যকর্ম অপ্রকাশিত রয়ে গেছে। যেগুলো কালের বিবর্তনে হারিয়ে গেছে। অর্থাৎ কোন মেয়ে কোন সাহিত্য লিখলেও, সে জানতো এটা কখনোই সমাজ ভালোভাবে নেবে না। কখনোই তা প্রকাশ হবে না। তাই এলিজাবেথান যুগে কোন মেয়ের সাহিত্যকর্ম শুধুমাত্র তার ডাইরির মধ্যেই সীমাবদ্ধ থেকেছে। আবার সমাজের মানুষ তাদের প্রতি খারাপ ইঙ্গিত করতো। ক্রিটিকরা তাদের সর্ব নিকৃষ্ট শ্রেণীর জীব হিসেবে ব্যাখ্যা করতো। এতে মেয়েদের লেখার প্রতি আগ্রহ হারিয়ে যেতো।
- রাজনীতিতে মেয়েদের অবস্থান
এলিজাবেথান যুগে রানী এলিজাবেথ নিজেই একজন শক্তিশালী শাসক ছিলেন। কিন্তু আর কোন নারী রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসেনি। রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ পদে তাদের জায়গা হয়নি। সবাই ছিল গৃহবন্দি। পুরো রাষ্ট্রটা মেয়েদের জন্য একটা উন্মুক্ত জেলখানা ছিল। সাহিত্যে মেয়েদেরকে রাজনৈতিক বিভিন্ন পদে এবং রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ পদে দেখানো হয়েছে। কিন্তু সমাজে ছিল এর একদম উল্টো চিত্র। নারীর ক্ষমতায়ন ছিল না।
- অর্থনৈতিকভাবে মেয়েদের অবস্থান
তৎকালীন সময়ে অর্থনৈতিকভাবে মেয়েদের অবস্থান খুবই ভয়াবহ ছিল। ছেলেরা চাইলে বিভিন্ন সাহিত্যকর্ম লিখে অর্থ উপার্জন করতো। তাদের মন খারাপ হলে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে পারতো। অনেক কিছু দেখে অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারতো। কিন্তু মেয়েদের সেই সুযোগ ছিল না। তাদের সাহিত্য খারাপ ভাবে সমালোচনা করলে এবং তাদের মন খারাপ হলে তারা কোথাও যেতে পারতো না। তাদের চাকরির ও ব্যবসা-বাণিজ্যের কোন সুযোগ ছিল না। যদিও কেউ থিয়েটারে কাজ করতে যেতো, তাহলে তাকে নানা রকম ফিজিক্যাল হ্যারেসমেন্ট এর শিকার হতে হতো। Shakespeare’s Sister এ দেখানো হয়েছে শেক্সপিয়ারের ফিকশনাল বোন, একজন থিয়েটার ম্যানেজারের দ্বারা প্রেগনেন্ট হয় এবং অবশেষে আত্মহত্যা করেন।
২. শেক্সপিয়রের একটা ফিকশনাল বোনকে তৈরি করে তার গল্প বলা হয়েছে। (শেক্সপিয়ারের একটা বোন থাকলে তার পরিণাম কি হতো, কাল্পনিক চরিত্র তৈরি করে তা দেখানো হয়েছে)
এই বোনটি তার ভাইয়ের মতো একই প্রতিভা নিয়ে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। কিন্তু তাকে তার বাবা-মা তার ভাইয়ের সাথে একটি গ্রামার স্কুলে যোগ দিতে বা ওভিড, ভার্জিল এবং হোরেসের কবিতা পড়তে দেয়নি। যখন সে তার ভাইয়ের বইয়ের লাইব্রেরি থেকে কয়েকটি পৃষ্ঠা পড়ে, তখন তার বাবা-মা তাকে স্টকিংস মেরামত করতে বা স্ট্যুতে(ভাপে সিদ্ধ করা খাবার রান্নাতে) মন দিতে বলেছিল এবং বই এবং কাগজপত্র নিয়ে ঘাটাঘাটি করতে নিষেধ করেছিল।
সম্ভবত তিনি চিলেকোঠায় বসে সেই সময়ে কিছু পৃষ্ঠা সাহিত্যকর্ম লিখে রেখেছিলেন। এরপর সেগুলি তিনি লুকিয়ে রেখেছিলেন। আর সেগুলোতে যেন আগুন না লাগে, সেই বিষয়েও তিনি সতর্ক ছিলেন। কৈশোর পেরিয়ে যাওয়ার আগেই তাকে প্রতিবেশী উল-স্ট্যাপলারের সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হতে হয়েছিল। সে আপত্তি করলে তারা তাকে নানারিতে (চার্চের সেবিকা হিসেবে থাকা) পাঠানোর হুমকি দেওয়া হয়। তবে তার সাহিত্যের প্রতিভার শক্তি তাকে বাড়ি থেকে পালাতে প্ররোচিত করেছিল। গ্রীষ্মের এক রাতে তিনি লন্ডনের রাস্তা দিয়ে হাঁটছিলেন । তার বয়স ছিল মাত্র সতেরো এবং একটি গানের পাখির মতোই তার কণ্ঠস্বর ছিল। তার ভাইয়ের মতো শব্দের সুর (সুন্দর সুন্দর কবিতা লেখা) এবং থিয়েটারের জন্য তিনি যোগ্য ছিলেন।
তিনি বিভিন্ন থিয়েটারের দরজায় দাঁড়িয়ে বলেছিলেন যে, তিনি অভিনয় করতে চান। পুরুষরা তাকে দেখে হেসেছিল। এক থিয়েটার ম্যানেজার নিক গ্রিন তার অভিনয়ের প্রতি এমন আগ্রহ দেখে হেসেছিলেন এবং বলেছিলেন যে একজন মহিলার অভিনয় একটি পুতুল নাচের মতো হবে। তবে নিক গ্রিনের মনে তার জন্য করুণা হয়েছিল, কারণ সে অল্পবয়সী ছিল । কিন্তু তিনি সুযোগের অপেক্ষায় ছিলেন এবং জুডিথকে প্রেগনেন্ট করে দেন। এরপর লজ্জায় জুডিথ আত্মহত্যা করে।
পরিশেষে কিছু কথা:
ষোড়শ শতাব্দীর যে সমাজে শেক্সপিয়র বাস করতেন তা ছিল বন্ধুত্বহীন, এমনকি নারীর সাহিত্যিক উচ্চাকাঙ্ক্ষার প্রতিও শত্রুতাপূর্ণ। আইন ও প্রথার সমস্ত শক্তি নারীর প্রতিভাকে দমন করার ষড়যন্ত্র করেছে সে সময়ে। তখন নারীদের শিক্ষার অধিকার ছিল না। তাই একজন নারীর লেখক জেন অস্টেনকে সমালোচনার তীর ছুঁড়ে শেষ করে দেওয়া হয়েছিল। একটি অত্যন্ত প্রতিভাধর মেয়ে, যে কবিতার জন্য তার প্রতিভা দেখানোর চেষ্টা করেছিল, তাকে ব্যর্থ করে দেওয়া হতো।
এই প্রবন্ধটিকে একটি নারীবাদী প্রবন্ধ হিসাবে বিবেচনা করা হয়। ভার্জিনিয়া উলফ হলেন প্রথম নারী লেখকদের মধ্যে একজন, যিনি সাহিত্যে নারীদের সমস্যাগুলি উল্লেখ করেছিলেন। সমাজ অনেক বিধিনিষেধ দিয়ে সাহিত্যে ও জীবনে নারীদের দমবন্ধ করার অবস্থা করেছিল । শেক্সপিয়ারের যদি একই মৌলিকতা এবং দুঃসাহসিক চেতনার বোন থাকতো, তবে তার বাবা-মা এবং সমাজ তাকে চুপ করিয়ে দিত। থিয়েটার জগতে প্রবেশের জন্য ঘর থেকে বের হলে তাকে নিয়ে হাসাহাসি করা হতো। জেন অস্টেন, জর্জ ইলিয়ট এবং ব্রোন্ট সিস্টারের জীবন এমনটাই প্রকাশ করে। একজন পুরুষের ছদ্মনামকে আশ্রয় করে সাহিত্য প্রকাশ করতে হতো। এমনকি যখন একজন মহিলা। (সেক্সপিয়ারের কাল্পনিক বোন জুডিথ) এই অবস্থাকে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন, তাকে তার জীবনটাই দিতে হয়েছিল। তাই পরিশেষে ভার্জিনিয়া উলফ্ বলেছেন, একজন লেখকের তার প্রতিভাকে প্রকাশ করার পূর্ণ স্বাধীনতা প্রয়োজন।