Key Facts
Original Title: La Nausee (French name)
Meaning of the title: Nausea মানে বমি বমি ভাব, অস্বস্তি অনুভব করা বা বিব্রত অনুভব করা । এই নোভেলে Protagonist নৌজিয়া এর সম্মুখীন হয়ে নিজের অস্তিত্বের সন্ধান পেয়েছেন।
Writer: Jean-Paul Sartre, An atheist ( নাস্তিক) (1905-1980)
Published date: 1938 in France. 1949 in England
Genre: Psychological Novel/ Existential novel.
Form: Written in a Diary.
Setting:
Time Setting: January of 1932.
Place Setting: Bouville ( fictional port of France)
Themes: Existentialism, consciousness, loneliness, transformation, and freedom.
Features of Existentialism:
- Man is responsible for his own actions
- Make is the maker of his own fortune
- Body is more important than soul
- Existence( মানুষের অস্তিত্ব) precedes essence(মানুষের গুণাবলী). (First existence then essence)
- Present is everything. No past, No future. There is nothing except present.
Characters:
Antoine Roquentin: The Protagonist of 30 years.
Self-Taught Man(Ogier P)- Book lover who wants to finish reading the books alphabetically.
Anny: Ex-girlfriend of Antoine Roquentin. They were in a relationship 6 months before the novel started. She lives in Paris.
Marquis De Rollebon: French aristocrat and political personality. Roquentin’s research is based on him.
Francois: Barmaid of a cafe. Roquentin fills up his sexual urge with her.
Monsieur Fasquelle: Manager of Café Mably
Summary – সামারি
এই নোভেলটা খুব সহজেই ৬টা স্টেজে বর্ণনা করা যায়। এই ছয়টা স্টেজ এবং শেষের ৭টি গুরুত্বপূর্ণ টপিক একবার করে পড়ে নিলে এই নোভেল সম্পর্কে সম্পূর্ণ কনসেপ্ট একদম ক্লিয়ার হয়ে যাবে।
৬টি স্টেজ:
১. এন্টোয়ান রোকুয়েন্টিনের বভিলে আসার উদ্দেশ্য
২. তিনি কোন কোন জায়গায় নৌজিয়া ফিল করেন?
৩. সেলফ টটম্যান ও ফ্রাঙ্কইজ এর সাথে এন্টোয়ান রোকুয়েন্টি এর দেখা
৪. প্রথমবারের মতো অস্তিত্ববাদ অনুভব করা
৫. অ্যানির সাথে প্যারিসে সাক্ষাৎ
৬. এন্টোয়ান রোকুয়েন্টিনের বভিলে ফিরে আসা এবং শেষ বারের মতো অস্তিত্ববাদ অনুভব করা
১. এন্টোয়ান রোকুয়েন্টিনের বভিলে আসার উদ্দেশ্য
নোভেলটি এভাবে শুরু হয় যে, ১৯৩২ সালের জানুয়ারি মাসে নভেলটির প্রোটাগনিস্ট এন্টোয়ান রোকুয়েন্টিন বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ঘুরে বেরিয়েছেন। এরপর তিনি ফ্রান্সের কাল্পনিক এক বন্দর নগরীতে আসেন, যার নাম হচ্ছে বভিল। অর্থাৎ বভিল নামে ফ্রান্সে কোন বন্দর নগরী নেই।
এন্টোয়ান রোকুয়েন্টিন সেই শহরে এই কারণে অবস্থান করছে যে, সে ফ্রান্সের একজন রাজনীতিবিদ এবং অভিজাত শ্রেণীর মানুষ মার্কুইস ডি রোলেবন (Marquis De Rollebon) সম্পর্কে লিখতে চায়। অর্থাৎ সে মার্কুইস ডি রোলেবনের জীবনী লিখতে চায়।
২. তিনি কিভাবে নৌজিয়া(প্রথম,দ্বিতীয় ও তৃতীয়বার) ফিল করেন?
এন্টোয়ান রোকুয়েন্টিন একটা অস্বস্তিকর পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে দিনকাল অতিক্রম করছেন। অর্থাৎ কোন কিছুই তার ভালো লাগছে না। কয়েকটা জায়গায় নৌজিয়া দেখানো হয়েছে।
- প্রথমত, একদিন তিনি একটা পাথরের টুকরো পেলেন। তার মনে হলো, এটা কি আসলেই পাথরের টুকরো? নাকি কোন কাগজ ভিজে শক্ত হয়ে রয়েছে? অর্থাৎ এই জায়গায় সে বুঝে উঠতে পারছে না যে, এই বস্তুটা আসলে কি? তাই সে খুব বিব্রতবোধ ফিল করছিল এবং অসুস্থ হয়ে পড়লো। সে ঝুকে সেই বস্তুটা তোলার চেষ্টা করলো, কিন্তু তুলতে পারছিল না। এই সময়টায় তার বমি বমি ভাব হতে শুরু করলো। আর এই অবস্থাকেই নোভেলটায় প্রাথমিকভাবে নৌজিয়া (Nausea) বলা হয়।
এন্টোয়ান রোকুয়েন্টিন অনুভব করলো, এমন পরিস্থিতি গুলো নোট করে রাখা উচিত। অর্থাৎ সে এখন কেমন অনুভব করছে, এই সবকিছু সে ডাইরিতে লিখে রাখতে শুরু করলো।
- দ্বিতীয়ত, এর কিছুক্ষণ পরে সে একটা ক্যাফেতে গেলো। সেখানে গিয়ে সে একটা গ্লাস সাথে নিল। সে গ্লাস হাতে নিয়ে তার অস্তিত্বের বিষয়ে ভাবতে লাগলো। অর্থাৎ এই যে বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন বিষয়ে সে ভাবছে, এটাও হচ্ছে নৌজিয়া। সে এখন অনুভব করছে, তার ভেতরে যত কিছু হচ্ছে, সে যেসব বিষয় নিয়ে ভাবছে, এই ভাবনাটা শুধুমাত্র তার নয়। বরং পৃথিবীর সবাই তো এমন ভাবনার মধ্যে দিয়েই অতিক্রম করছে। এই যে কেমন কেমন লাগা, কেমন একটা অনুভব করা, এটাই নৌজিয়া। আর এই বিষয়টা শুধুমাত্র তার মধ্যে এবং এই জায়গায় নয় বরং সমগ্র পৃথিবীতে এবং সবার মধ্যেই ছড়িয়ে আছে।
- তৃতীয়ত, অ্যানির চিঠির উত্তরে নৌজিয়া অবস্থা বোঝানো
এরপর এন্টোয়ান রোকুয়েন্টিন তার এক্স গার্লফ্রেন্ড অ্যানির কাছে থেকে একটা চিঠি পায়। এই চিঠিতে অ্যানি এন্টোয়ান রোকুয়েন্টিনকে প্যারিসে যেতে বলেছে এবং তার সাথে দেখা করতে বলেছে। এন্টোয়ান রোকুয়েন্টিনও অ্যানির সাথে দেখা করতে চায়। এবং তার যে কিছুই ভালো লাগছে না, সবকিছু কেমন কেমন যেন লাগছে, এটা বোঝাতে চায়। এক কথায় তার নৌজিয়া অবস্থা সম্পর্কে বোঝাতে চায়।
৩. সেলফ টটম্যান ও ফ্রাঙ্কইজ এর সাথে এন্টোয়ান রোকুয়েন্টি এর দেখা
এরপর এন্টোয়ান রোকুয়েন্টিন মার্কুইস ডি রোলেবনের বায়োগ্রাফি লেখার জন্য তার সম্পর্কে পড়তে নিকটবর্তী একটা লাইব্রেরীতে যায়। সেখানে গিয়ে দা সেলফ টটম্যানের সাথে তার দেখা হয়। এই লোকটা আলফাবেটিক্যালি (a,b,c,,,,z) লাইব্রেরির সবগুলো বই পড়ছিল। তো এভাবেই নৌজিয়ার মধ্যে দিয়ে এন্টোয়ান রোকুয়েন্টিনের দিনকাল কাটছিল। সে লাইব্রেরীতে যেতো, আর সেলফ টটম্যানের সাথে বই পড়তো।
এরপর এন্টোয়ান রোকুয়েন্টিনের দেখা হয় ফ্রাঙ্কইজ এর সাথে। অর্থের বিনিময়ে এন্টোয়ান রোকুয়েন্টিন তার সাথে সেক্স করতো। এখানে কোন ভালোবাসা ছিল না। শুধুমাত্র অর্থের বিনিময়ে শারীরিক চাহিদা পূরণ হতো।
৪. অস্তিত্ববাদ অনুভব করা
প্রথমবার, অস্তিত্ববাদ অনুভব করে মার্কুইস ডি রোলেবনকে নিয়ে লেখা বন্ধ করা
তো এই নৌজিয়া পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে অতিক্রম করার সময়ে, একপর্যায়ে এন্টোয়ান রোকুয়েন্টিন অনুভব করলো মার্কুইস ডি রোলেবনকে নিয়ে লেখা একদমই বৃথাশ্রম। অর্থাৎ তাকে নিয়ে লেখার কোন মানেই হয় না। মার্কুইস ডি রোলেবন তো মারা গেছে। সে অতীত হয়ে গেছে। অর্থাৎ যে ব্যক্তি মারা গেছে, তাকে নিয়ে চিন্তাভাবনা করা বা লেখা মানেই তো অযথা সময় নষ্ট। এখানে সে নিজের অস্তিত্ব বিসর্জন দিয়ে অন্যকে মহিমান্বিত করছে। এখানে বোঝানো হয়েছে অতীত নিয়ে চিন্তা ভাবনা করা মানে সময় নষ্ট ছাড়া আর কিছু নয়। কারণ অতীত তো আর ফিরে আসবে না। অতিত যেমন ফিরে আসে না , রোলেবন তেমনি ফিরে আসবে না। এক্সিসটেন্সিয়ালিজমের ব্যাখায় আমরা দেখেছি সেখানে অতীত বা ভবিষ্যতের কোন মূল্য নেই। বর্তমানকেই সর্বাধিক প্রায়োরিটি দেওয়া হয়েছে। এখানে এন্টোয়ান রোকুয়েন্টিন নিজের অস্তিত্বকে ভুলে গিয়ে অতীতের কোন কিছু টেনে আনছে। অর্থাৎ যে ব্যক্তি মারা গেছে তাকে নিয়ে লিখতে গিয়ে সে নিজের অস্তিত্ব বিসর্জন দিচ্ছে। সে এই জায়গায় ২টা জিনিস বুঝতে পারলো,
- এই পৃথিবীতে সে একা। অন্যকে নিয়ে লিখতে গিয়ে সে নিজের অস্তিত্বকে ভুলতে চলেছিল।
- বর্তমানকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে। অতীতের দিকে তাকানো মানেই বৃথাশ্রম।
এই ২টা বিষয় বোঝার পরে সে মার্কুইস ডি রোলেবনের সম্পর্কে লেখা বন্ধ করে দিল। নোবেলের এই জায়গায় এক্সিসটেনশিয়ালিজম এর একটা ফিচারস ডুয়ালিটি দেখানো হয়। অর্থাৎ এন্টোয়ান রোকুয়েন্টিন মার্কুইস ডি রোলেবনের সাথে নিজের তুলনা করছে। সে এমনভাবে নিজের অস্তিত্ব ভুলে যেতে বসেছিল যে আয়নার দিকে তাকিয়ে সে নিজের পরিবর্তে মার্কুইস ডি রোলেবনকে দেখতে পাচ্ছিল।
দ্বিতীয়বার, অস্তিত্ববাদ অনুভব করা
এরপর একদিন দুপুরবেলা খাবার খাওয়ার সময় সেলফ টটম্যান এন্টোয়ান রোকুয়েন্টিনকে বললো সে সোশ্যালিজম এবং হিউম্যানিজমে বিশ্বাসী। সোশ্যালিজম এবং হিউম্যানিজমে বিশ্বাস করার ফলে, সে তার আশে পাশের মানুষ এবং তাদের মতামতকে অনেকটা গুরুত্ব দেয়। সে সমাজতন্ত্রের প্রতি গুরুত্ব আরোপ করে। সে বলে সমাজতন্ত্র এমন একটা আর্থিক ব্যবস্থা যেখানে নির্দিষ্ট একটা কমিউনিটির মধ্যে উৎপাদিত সবকিছুর সুষম বন্টন হয়। অর্থাৎ এই জায়গায় সে তার সমাজতান্ত্রিক মানসিকতার পরিচয় দেয় এবং এন্টোয়ান রোকুয়েন্টিনকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করে।
কিন্তু এন্টোয়ান রোকুয়েন্টিনের কাছে এটা মূল্যহীন বলে মনে হয়। কারণ সে কিছুক্ষণ আগেই নিজের অস্তিত্ববাদ নিয়ে ভেবেছে। নিজের অস্তিত্বকে টিকিয়ে রাখার বিষয়ে ভেবে সে মার্কুইস ডি রোলেবনের সম্পর্কে লেখা বন্ধ করে দিয়েছে। তার কাছে হিউম্যানিজম ও সোশ্যালিজমের কোন গুরুত্বই নেই। এরপর সেলফ টটম্যান এন্টোয়ান রোকুয়েন্টিনকে আরো মোটিভেট করতে “Is life worth living” নামক একটা বই সম্পর্কে বলে। মানুষের জীবনের নির্দিষ্ট কোন অর্থ নেই। আমরা আমাদের জীবনকে যেই অর্থ দেবো আমাদের জীবন সেভাবেই চলবে। কিন্তু এন্টোয়ান রোকুয়েন্টিন মনে মনে ভাবলো এই বইয়ের লেখক এর ধারণা এবং তার ধারণার মধ্যে আকাশ-পাতাল তফাৎ রয়েছে। কিন্তু এই বিষয়ে সে সেল্ফ টটম্যানের সাথে বিতর্কে জড়াতে চায় না বলে চুপচাপ থাকলো।
তৃতীয়বার, অস্তিত্ববাদ অনুভব করা
এরপর দুপুর বেলা খাওয়া শেষ করে এন্টোয়ান রোকুয়েন্টিন একটা ট্রামে চড়ে এক্সিসটেন্সিয়ালিজম সম্পর্কে ভাবতে লাগলো। এরপর সে পার্কে একটা বাদামি গাছের নিচে ( chestnut tree) বসলো। তখন তার মনে হলো সে নিজের অস্তিত্ব আবিষ্কার করে ফেলেছে। সে গাছটির সাথে কথা বলতে শুরু করলো। সে গাছটির বাইরের সাইট টা না দেখে, গাছটির গুণ নিয়ে কথা বলতে থাকলো। সেই জায়গায় পার্কের চেয়ার, বেঞ্চ এগুলোর নাম সম্পর্কে ভাবতে থাকলো। এগুলো নাম তো মানুষ দিয়েছে। কিন্তু আসলেই কি এর নামের সাথে এর প্রকৃত সম্পর্ক আছে? এগুলোর নাম তো অন্য কিছুও হতে পারতো। অর্থাৎ মানুষ তার প্রয়োজন অনুযায়ী সবকিছু ব্যবহার করছে এবং এর নাম দিচ্ছে কিন্তু এর সাথে সম্পর্কটা আসলে নেই। এই জায়গায় বোঝানো হয়েছে, স্বীয় অস্তিত্ববাদ সম্পর্কে আমরা যতক্ষণ অন্যমনস্ক থাকবো, ততক্ষণ পর্যন্ত কোন কিছুই আমাদের অস্তিত্বকে সঠিকভাবে উপস্থাপন করতে পারবে না। এভাবে সে নিজের অস্তিত্ব খোঁজার চেষ্টা করছে।
৫. অ্যানির সাথে প্যারিসে সাক্ষাৎ
সেদিন রাতে এন্টোয়ান রোকুয়েন্টিন অ্যানির সাথে দেখা করতে প্যারিসে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। সে ভাবলো, অ্যানি যেহেতু নিজে থেকে তাকে ইনভাইট করেছিল, তাহলে হয়তো অ্যানি আবারো রিলেশন কন্টিনিউ করতে চায়। সে একবার বভিলে গিয়ে ঘুরে এসে পার্মানেন্টলি প্যারিসে অ্যানির সাথে থাকবে। মোটামুটি ৬ বছর পরে এন্টোয়ান রোকুয়েন্টিন অ্যানির সাথে দেখা করে।
কিন্তু এই জায়গায় অ্যানিকে দেখে এন্টোয়ান রোকুয়েন্টিন ভাবতে থাকে, অ্যানি আগের চেয়ে অনেক মোটা হয়ে গেছে। তার চেহারা অনেকটা খারাপ হয়ে গেছে। অ্যানি মঞ্চে অভিনয় করতো। তার অভিনয় খুব সুন্দর ছিল। এবং প্রতিটা মোমেন্টের সাথে সে নিজেকে খুব ভালো মানিয়ে নিতো। কিন্তু সেই অ্যানি এখন অভিনয়ের ক্ষেত্রে পারফেক্ট মোমেন্টের প্রতি খেয়াল করে না। আর সে এখন অর্থের বিনিময়ে তার একটা বয়ফ্রেন্ডের সাথে থাকে। অর্থাৎ অ্যানির বয়ফ্রেন্ড তার সাথে সেক্স করে, বিনিময়ে সে অ্যানিকে টাকা দেয়। এই জায়গায় অ্যানি এন্টোয়ান রোকুয়েন্টিনকে বলে, সে লাইফকে অনেক বেশি ইনজয় করেছে। সে আর এন্টোয়ান রোকুয়েন্টিনের কাছে ফিরতে চায় না। পরের দিন অ্যানি তার নতুন বয়ফ্রেন্ডের সাথে লন্ডনে ফিরে যায়।
৬. এন্টোয়ান রোকুয়েন্টিনের বভিলে ফিরে আসা এবং শেষ বারের মতো অস্তিত্ববাদ অনুভব করা
এদিকে এন্টোয়ান রোকুয়েন্টিন বভিলে চলে আসে। সে কিছুদিন এখানেই কাটাতে থাকে। একদিন সে শুনতে পায় কোর্সিকান (Corsican) নামক ওই লাইব্রেরিয়ান সেলফ টটম্যানকে একটা অল্প বয়সী ছেলের হাতে হাত বোলাতে দেখেছে। অর্থাৎ এখানে সেক্সুয়াল রিলেশনশিপে (Abusive) যাওয়ার দিকে ইঙ্গিত দিচ্ছে। এটা দেখে লাইব্রেরিয়ান তাকে মেরে সেখান থেকে তাড়িয়ে দেয়। সারা জীবনের জন্য তার এই লাইব্রেরীতে আসা বন্ধ করে দেয়। এন্টোয়ান রোকুয়েন্টিনের সাথে যদিও সেলফ টটম্যানের সম্পর্ক খুব একটা ভালো ছিল না, সে তাকে পছন্দও করতো না, তবে সেলফ টটম্যানের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ সে বিশ্বাস করলো না। তো পরিস্থিতিটা এন্টোয়ান রোকুয়েন্টিনের জন্য আরো বিব্রতকর হয়ে আসে। তাই সে বভিল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেয়।
তাই সে ক্যাফেতে গিয়ে ফ্রাঙ্কইজ ( Francois) এর সাথে দেখা করে এবং তার কাছ থেকে বিদায় নেয়। এন্টোয়ান রোকুয়েন্টিন এই ফ্রাঙ্কইজের সাথেই মাঝেমধ্যে টাকার বিনিময়ে সেক্স করে সময় কাটাতো। এই জায়গাটায় মাঝেমধ্যে সে বিব্রতবোধ করতো, আবার মাঝে মধ্যে অনিরাপদ অনুভব করতো। যাইহোক তারা একে অন্যকে আন্তরিকতা ছাড়াই বিদায় জানালো। কারণ তাদের মধ্যে অর্থের লেনদেনের বিনিময়ে সেক্স করা ছাড়া আর কোন সম্পর্ক ছিল না। এখানে কারো পক্ষ থেকেই কোনরূপ আবেগ কাজ করেনি।
শেষ বারের মতো অস্তিত্ববাদ অনুভব করা
এন্টোয়ান রোকুয়েন্টিন যখন চলে আসবে, তখন সেই ক্যাফে এর একজন ওয়েট্রেস তাকে বলে,সে এন্টোয়ান রোকুয়েন্টিনের জন্য তার প্রিয় গান “Some of these days” এর রেকর্ড বাজাবে। এই গানের সিডিতে অনেকটা দাগ পড়ে গিয়েছে। অর্থাৎ এটা প্রায় নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়ে গিয়েছিল। এটা দেখে এন্টোয়ান রোকুয়েন্টিন ভাবতে থাকে, এই সিডিটা শুধুমাত্র একটা বস্তুগত উপকরণ। কিন্তু এর অস্তিত্ব লুকিয়ে আছে এর গানের ভেতরে। আর এর অস্তিত্ব এখনো অক্ষুন্ন রয়েছে। অর্থাৎ সিডিটা নষ্ট হওয়ার উপক্রম হলেও, গানটি এখনো অক্ষত রয়েছে। তখন এন্টোয়ান রোকুয়েন্টিন ভাবতে থাকে এই রেকর্ডটি একটা বস্তুগত উপকরণ।
তাই রেকর্ড এর উপরে নির্ভর করে নয় বরং এই গানের মতো তার অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখবে, এমন কিছু তাকে তৈরি করতে হবে। তাই সে সিদ্ধান্ত নিল, এই গবেষণার কাজ ছেড়ে দিয়ে সে একটা নোভেল লিখবে। আর এই নোভেল তার অস্তিত্বকে টিকিয়ে রাখবে। অর্থাৎ সে তার নিজের অস্তিত্বকে টিকিয়ে রাখতে একটা বায়োগ্রাফিক্যাল নোভেল লিখবে। আর এখানেই নোভেলটি শেষ হয়ে যায়।
7 Important topics:
- Existence precedes essence: মানুষের স্বাধীনতার সামনের প্রতিবন্ধকতা দূর করার জন্য Sarte যুক্তি দেন যে, অস্তিত্ব গুণাবলীর আগে। যদি অস্তিত্ব গুণাবলীর আগে থাকে, তাহলে মানুষ নিজেই তার গুণাবলী তৈরি করবে এবং সে নিজেই তার কর্মের জন্য দায়ী হবে। এই চিন্তাধারায় ঈশ্বরের অস্তিত্বের কোনো প্রয়োজন নেই।
- Bad Faith- নিজের মুক্ত অস্তিত্বের চেয়ে নিজেকে আলাদা হিসাবে উপস্থাপন করার প্রবণতাকে খারাপ বিশ্বাস বলা হয়।
- Bad faith of Monsieur Fasquelle তিনি নিজের পেশার দ্বারা নিজেকে মূল্যায়ন করতেন। কিন্তুতে তিনি এটা ভুলে গিয়েছিলেন যে, তার পেশা তিনি নিজেই বাছাই করেছিলেন। অন্য কেউ জোর করে এই পেশা তার উপরে চাপিয়ে দেয়নি। তো এটাই তার Bad faith.
*Bad Faith of Self-Taught Man
এই ব্যক্তি মনে করেন তিনি বভিল লাইব্রেরি সব বই পড়ে শেষ করে ফেলবেন। এবং তিনি সবচেয়ে জ্ঞানী এমন ভাব প্রকাশ করতেন। কিন্তু অবশেষে তিনি একটা ছেলেকে সেক্সুয়াল হারেসমেন্ট করতে চেয়েছিলেন। এখানে স্ব-বিরোধী একটা চিন্তাভাবনা দেখানো হয়েছে। অর্থাৎ তার বাইরের আবরণ একরকম কিন্তু ভেতরের আবরণ অন্যরকম। এটাই Bad faith. আবার তিনি শুধুমাত্র বই এবং অন্যের জ্ঞান নিজের মধ্যে নিয়ে সর্বোচ্চ জ্ঞানী হওয়ার চেষ্টা করছেন এটাও Bad Faith.
*Bad faith of Anny
অ্যানি রোকুয়েন্টিন কে ভালোবাসতে পারবে না। আবার সে তারপর তোমার বয়ফ্রেন্ড কেউ ভালোবাসে না। তার সে থেকে শুধুমাত্র অর্থের বিনিময়ে রয়েছে। কিন্তু সে একটা পারফেক্ট মোমেন্টের অপেক্ষায় আছে। এটা bad faith.
*Bad of an young couple
এই ইয়ং কাপল ইনোসেন্ট হওয়ার ভাব করত কিন্তু তারা একে অপরের প্রতি সেক্সুয়ালি অ্যাট্রাকটেড।
- Isolation: আমাদের প্রোটাগনিস্ট শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত একদম একাকীত্বতায় ভোগে। এর মূল কারণ হচ্ছে নৌজিয়া। তিনি প্রতিটা বস্তুর খুব গভীরে চলে যেতেন। এজন্য মানুষের প্রতি তার একটা অনীহা কাজ করতো। আর তাই তিনি আইসোলেটেড হয়ে গিয়েছিলেন। এছাড়া অ্যানিও একাকীত্বতায় ভুগছে।
- Subjective consciousness: আমাদের আশেপাশে যা কিছু রয়েছে তা নিজস্ব কিছু দ্বারা মূল্যায়িত হয় না বরং অন্যের দ্বারা মূল্যায়িত হয়। যেমন কোন গাছকে একজন কবি একভাবে উপস্থাপন করবেন। একজন উদ্ভিদ বিজ্ঞানী আরেকভাবে উপস্থাপন করবেন। অর্থাৎ কোন বস্তুকে বা ব্যক্তিকে নিজস্ব পার্সপেক্টিভ থেকে মূল্যায়ন করাই সাবজেক্টিভ কনশাসনেস। এর মাধ্যমে এক্সিসটেনশিয়ালিজম প্রকাশ পায়।
- Responsibility and Freedom: কাউকে যদি স্বাধীনতা দেওয়া হয় তাহলে এর পাশাপাশি রেসপন্সিবিলিটিও চলে আসে। আর কেউ রেসপন্সিবল হলে, তার স্বাধীনতাকেই সে অর্জন করে।
- Superficiality: অতিরঞ্জন মনোভাব প্রকাশ করা। মানুষের যা আছে তার চেয়ে অতিরঞ্জিত মনোভাব প্রকাশ করতে সে পছন্দ করে। এটা সবার ভেতরেই থাকে। এই নোভেলে সেলফ টটম্যানের মধ্যে superficiality বেশি দেখা যায়।
- Absurdity: অর্থহীনতা
সুপার ফিসিয়ালিটি প্রকাশ করতে গিয়েই মানুষের absurdity প্রকাশ পায়।