Agamemnon Bangla Summary

আগামেমন নাটকটির শুরুতে আরগোসের প্রাসাদের ছাদে প্রহরীকে পাহারারত অবস্থায় দেখা যায়। কখন ট্রয় নগরী গ্রীকদের হাতে পরাস্ত হবে তাঁর সঙ্কেত পাওয়ার জন্যে সে অধীরভাবে অপেক্ষা করছিল। বহূ দূরে একটি আলোক সঙ্কেত এর ঝলকানি দেখা গেলো। সেটি দেখে সে আনন্দে লাফিয়ে উঠল আর রানী ক্লাইটেমনেস্ট্রার কাছে এই খবর দেয়ার জন্যে দৌড়ালো।

আরগোসের বৃদ্ধরা এই নাটকে কোরাস এর ভূমিকা পালন করে। সে যখন দৌড়ে যাচ্ছিল সে সময় কোরাস এর বৃদ্ধ লোকেরা আরগোসের প্রাসাদে একত্রিত হয়েছিল আর সেই সকল পুরোনো ঘটনা অর্থাৎ রাজা মেনেলাউসের স্ত্রী হেলেনকে কিভাবে প্যারিস চুরি করে নিয়ে যায় এবং কিভাবে গ্রীকরা দশ বছর তাদের সাথে যুদ্ধ করেছে ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা করছিল।

Notes: Agamemnon

কোরাসরা সে সময় রাজা আগামেমননের সেই ন্যাক্কারজনক ঘটনাও স্মরন করেন অর্থাৎ আগামেমনন যাত্রাপথে যাতে সাগরে অনুকূল বায়ু লাভ করে সে জন্যে তাদের দেবতা আর্টেমিস এর জন্যে তাঁর কন্যা ইফিজিনিয়াকে উৎসর্গ করার জন্যে হত্যা করে।

এ সময় রানী ক্লাইটেমনেস্ট্রা ধন্যবাদসূচক উৎসর্গ করে। কোরাস তাঁর কাছে জানতে চায় তাঁর উৎসর্গের কারন। তখন সে জানায় এক আলোক সঙ্কেতের ঝলকানীর মাধ্যমে সে জানতে পেরেছে গত রাতে ট্রয় নগরীর পতন ঘটেছে। বৃদ্ধরা শুনে খুশি হয় কিন্তু তাঁর কথা পরিপূর্নভাবে বিশ্বাস করতে পারে না।

 সংবাদ বাহক সেখানে এসে পৌছায় এবং এই খবরের সত্যতা প্রকাশ করে। তাদেরকে আরো বলে সেখানে তাদেরকে অনেক কষ্ট করতে হয়েছে কিন্তু তারা বিজয়ী হয়েছে। রানী ক্লাইটেমনেস্ট্রা তাকে রাজা আগামেমননের বহরের দিকে যেতে বললেন এবং তাকে খবর দিতে বললেন, রাজা আগামেমনন যেনো তাড়াতাড়ি ফিরে আসে।

সে চলে যাওয়ার আগে বৃদ্ধরা রাজা আগামেমননের ভাই মেনেলাউসের খবর জানতে চায়। সে তাদের বলে রাজা মেনেলাউসের বহর দেখা যায় নি কারন পথিমধ্যে একটা ভয়ঙ্কর সমূদ্র ঝড় ওঠে সে সময় অনেকেরই জাহাজ দিক বিদিক ছুটে যায়। ঝড়ের পরে মেনেলাউস সহ অনেককেই খুজে পাওয়া যাচ্ছে না। 

এবার কোরাসেরা হেলেনের সৌন্দর্যের ভয়ঙ্করত্ব নিয়ে গান গাইলো। অবশেষে আগামেমনন ফিরে এলো। রাজা প্রায়ামের (Priam) কন্যা কাসান্দ্রাকে নিয়েই রাজা আগামেমনন ফিরে আসে এবং রথ থেকে অবতরণ করে।

কাসান্দ্রাকে সে দাসী হিসেবে গ্রহন করেছে। রানী ক্লাইটেমনেস্ট্রা তাদেরকে অভ্যর্থনা জানায় ও রাজাকে বলে তাঁর ভালোবাসা আগের মতই অটুট আছে। রাজার প্রাসাদে প্রবেশের জন্যে একটি বেগুনী কার্পেট বিছিয়ে দেয়। রাজা তাঁর প্রতি খুব ঠান্ডা আচরণ করে আর বলে এই কার্পেট দিয়ে হাটা তাঁর জন্যে এক প্রকারের অহংকার। সে রাজাকে এটা দিয়ে হেটে প্রাসাদে প্রবেশের জন্যে ক্রমাগত জোরাজুরি করতে থাকে। যাই হোক অবশেষে রাজা আগামেমনন প্রাসাদে প্রবেশ করলেন।

Notes: NU 4th Year

এ সময় কোরাসের বৃদ্ধরা এক প্রকার অমঙ্গলের পূর্ব লক্ষণ অনুধাবন করলেন। ক্লাইটেমনেস্ট্রা বেরিয়ে আসে যাতে কাসান্দ্রা ভিতরে যেতে পারে। ট্রয়ের এই রাজকন্যা এ সময় একেবারে চুপ মেরে যায় আর রানী ক্লাইটেমনেস্ট্রা তাকে এই রকম নৈরাস্যজনক অবস্থায় ফেলে যায়। এ সময় কাসান্ড্রা কথা বলতে শুরু করে আর সে কিছু অসংলগ্ন ভবিষ্যৎবানী করে।

 সে আগামেমননের বাড়ির উপর অভিশাপ রয়েছে বলে মন্তব্য করে। সে কোরাসদের বলে তাদের রাজা খুব শিঘ্রই মারা যাবে এবং এরপর সেও মারা যাবে। এরপর আরো ভবিষ্যৎবানী করে সামনে একজন প্রতিশোধ গ্রহনকারী আসবে। তাঁর কথা কেউ বিশ্বাস করে না। সে এ সময় ভাগ্যের কাছে নিজেকে সপে দেয় এবং ঘরে প্রবেশ করে। এক সময় কোরাসদের ভয় বেড়ে যায়।

 পরের দৃশ্যে আগামেমননের ব্যাথায় চিৎকার শোনা যায়। কোরাসের দল এ সময় কি করবে তা নিয়ে এক প্রকার দ্বন্দে পড়ে যায়। রানী ক্লাইটেমনেস্ট্রা দরজা খোলে। তাকে তাঁর স্বামীর মৃতদেহ ও কাসান্দ্রার মাঝে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। সে তাদের বলে সে তাঁর কন্যা ইফিজিনিয়াকে হত্যার প্রতিশোধ নিয়েছে। এরপর সে তাঁর প্রেমিক আগামেমননের চাচাতো ভাই এজিসথাস এর সাথে যোগ দেয়। তারা দুজনে রাজ্যভার গ্রহন করে। কোরাসের বৃদ্ধরা বলাবলি করে আগামেমননের ছেলে অরেস্টিস তাঁর পিতার হত্যার প্রতিশোধ নিতে আসবে।

Ruhul Amin
Ruhul Amin

This is Ruhul Amin, working and researching for English literature to make it discovered and available to the world.

Articles: 126

Leave a Reply