◾প্রধান চরিত্রসমূহঃ
- Theseus (থেসিয়াস ) :
থেসিয়াস এথেন্সের রাজা । থেসিয়াসের প্রথম স্ত্রীর নাম এন্টিয়পি (Antiope) । - Hippolytus( হিপোলিটাস ) :
রাজা থেসিয়াস ও এন্টিয়পির ছেলে হিপোলিটাস । - Phaedra (ফেইড্রা ) :
রাজা থেসিয়াসের দ্বিতীয় স্ত্রী হলো ফেইড্রা । ফেইড্রা হিপোলিটাসের সৎমা ।
ফেইড্রার মা ও বাবার নাম যথাক্রমে পেসিফাই( Pasiphae) ও মাইনোস ( Minos)। - The Nurse : ফেইড্রার দেখাশোনা করতো এই নার্স ।
- Peirithous (পেরিথোয়াস) :
রাজা থেসিয়াসের বন্ধু পেরিথোয়াস.
Phaedra Bangla Summary
◾ মূল কাহিনীঃ
🗣️এথেন্সের রাজা থেসিয়াস ও তার বন্ধু পেরিথোয়াস চার বছর পূর্বে পাতালপুরী ( Underworld) এর Hades এ গিয়েছিলো। তাদের উদ্দেশ্য ছিলো Hades এর রাজা প্লুটোর স্ত্রী পারসিফোনিকে পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনা । চার বছর অতিবাহিত হওয়ার পরেও তাদের পৃথিবীতে ফিরে না আসায়, রাজা থেসিয়াসের বর্তমান স্ত্রী ফেইড্রা মনে করছিলো তার স্বামী থেসিয়াস ও পেরিথোয়াস পাতালপুরীতে মারা গেছেন ।
More: Phaedra
এদিকে ফেইড্রা তার সৎপুত্র হিপোলিটাসের প্রতি গভীরভাবে আকৃষ্ট হয়ে পড়ে । নিজেরই সৎ ছেলের প্রেমে পড়ে ফেইড্রা । সৎপুত্রের প্রতি বিমাতার এই আকর্ষণ নৈতিক দৃষ্টিতে নিন্দনীয় হলেও আবেগপ্রবণ ফেইড্রার ঐকান্তিক কামনার জোয়ার সম্ভ্রমের সকল বাধাকে যেন ভাসিয়ে নিয়ে যায় ।
অন্যদিকে হিপোলিটাস ছিলো নারীর প্রতি নিতান্তই উদাসীন । হিপোলিটাস আশৈশব পবিত্র জীবনযাপনকারী । সে খেলাধুলা ও শিকার করতে খুব ভালোবাসে । রাজপুত্র হওয়া সত্ত্বেও রাজ দরবারে থাকতে সে পছন্দ করতো না ।
ফেইড্রা যখন হিপোলিটাসকে তার ভালোবাসার কথা জানায়, হিপোলিটাস আশ্চর্য হয় । সৎমায়ের প্রেম নিবেদনে হিপোলিটাস ক্ষুব্ধ হয়। সে প্রবল ঘৃনার সাথে ফেইড্রার প্রেমকে প্রত্যাখ্যান করে ।
প্রত্যাখ্যাত হয়ে প্রেম আরো তীব্রভাবে জ্বলে ওঠে ফেইড্রার মনে ।
ফেইড্রার দিক থেকে যা ছিল সুতীব্র প্রেম যাতনা, হিপোলিটাসের কাছে তা ছিল অকল্পনীয় অসঙ্গত ও অগ্রহণযোগ্য এক উদগ্র কামনা।
অভাবিত প্রেমের আহ্বান সম্পূর্ণ উপেক্ষা করে গভীর বিতৃষ্ণায় হিপোলিটাস রাজপ্রাসাদ ছেড়ে চলে যায় ।
এদিকে রাজা থেসিয়াস ফিরে আসেন পাতালপুরী থেকে । এসে দেখেন স্ত্রীর বিপর্যস্থ অবস্থা । ফেইড্রা তার স্বামী রাজা থেসিয়াসকে জানায় যে,হিপোলিটাস তার শ্লীলতা হরণ করেছে । একথা শুনে থেসিয়াস বিক্ষুব্ধ, স্তম্ভিত হয়ে পুত্র হিপোলিটাসের প্রতি এক অভিশাপ বাণী উচ্চারণ করেন এবং দেবতা নেপচুনের কাছে হিপোলিটাসের মৃত্যুর আবেদন করে।
যার ফলে হিপোলিটাসের জীবন এক হৃদয় বিদারক দূর্ঘটনায় নিঃশেষ হয়ে যায় ।
হিপোলিটাসের করুন মৃত্যুতে কাহিনী ক্লাইমেক্সে পৌঁছে ।
হিপোলিটাসের মৃতদেহ দেখে ফেইড্রা কান্নায় ভেঙে পড়ে এবং তখনই
ফেইড্রার ষড়যন্ত্রের জট খোলে । ভালোবাসার নির্মম পরিণতিতে বিচলিত ফেইড্রা নিজেই স্বামীর কাছে নিজের অপরাধের কথা প্রকাশ করে দেয় । থেসিয়াস প্রকৃত সত্য টি জানতে পারে, যে হিপোলিটাস ফেইড্রার শ্লীলতাহানি করেনি এবং ফেইড্রার প্রেম নিবেদনই হিপোলিটাসকে রাজদরবার ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য করেছে ।
ফেইড্রা স্বীকার করে যে, হিপোলিটাস তার প্রেম প্রত্যাখ্যান করায় , সে হিপোলিটাসের বিরুদ্ধে এই অপবাদ দিয়েছিলো ।
তারপর অনুশোচনায় ফেইড্রা আত্মহত্যা করে ।
মূহুর্তেই রাজা থেসিয়াস নিজ পুত্রের করুন মৃত্যুতে এক দিশেহারা পিতায় পরিনত হয় । নিজের প্রতি তার রাগ হয়, কারন তার আবেদনেই দেবতা নেপচুন হিপোলিটাসের মৃত্যু দিয়েছে । দুঃখ আর হতাশার সাগরে ঠাই পাচ্ছিলো না রাজা থেসিয়াস । ফেইড্রার প্রতি প্রচন্ড ঘৃনা হচ্ছিলো তার।
তারপর , রাজা থেসিয়াস তার পুত্রের দাফন রাষ্ট্রীয় মর্যাদার সাথে সম্পন্ন করার আদেশ দেন।
অন্যদিকে ফেইড্রার দাফন হয়েছিলো থেসিয়াসের ঘৃনায় আর করুন ভাবে তার লাশ অনেক উচু থেকে ফেলে দিয়ে মাটি চাপা দেয়া হয়েছিলো ।
এভাবে সার্বিক বিবেচনায় এই নাটকটি এক ট্রাজেডির জন্ম দেয় । রাজা থেসিয়াসের গভীরতম দুঃখ ও হতাশাই এই নাটকটির উপসংহার হয়ে দাঁড়ায়।